প্রকাশিত: Mon, Aug 7, 2023 11:13 PM
আপডেট: Mon, Jun 30, 2025 12:00 PM

[১]মন্ত্রিসভায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত [২]সাইবার নিরাপত্তা আইনে মানহানির মামলায় কারাদণ্ড থাকছে না [৩]ধর্মীয় উস্কানির মামলায় জামিন মিলবে [৪]বিভিন্ন ধারায় কারাদণ্ড কমছে

আনিস তপন: [৫] ডিজিটাল নিরাপত্তার আইনের ২৯ ধারা সম্পূর্ণ বাতিল করা হয়েছে। মানহানিকর তথ্য প্রকাশ ও প্রচারের অপরাধে কারাদণ্ডের বিধান বাতিল করে নতুন আইনে শুধু জরিমানার বিধান করতে যাচ্ছে সরকার।

[৬] জরিমানার পরিমাণ হবে সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা। দণ্ডিত হয়ে কেউ জরিমানার অর্থ পরিশোধ না করতে পারলে ৩ থেকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া যাবে।

[৭] যেহেতু কারাদণ্ডের বিধান নেই, তাই এখন মানহানির অভিযোগে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না।

[৮.১] ধারা ২৮ এ যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করেন বা উসকানি দেন; তাহলে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান ছিল। এটা ছিল অজামিনযোগ্য অপরাধ। 

[৮.২] প্রস্তাবিত আইনে এটি জামিনযোগ্য এবং এমন অপরাধের শাস্তি কমিয়ে সর্বোচ্চ সাজা দুই বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

[৯.১] ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২১ ধারায় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশের পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত এসব নিয়ে যদি কেউ কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করে; সেটির সাজা ছিল ১০ বছর কারাদণ্ড। একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করলে দ্বিগুণ সাজা দেয়ার বিধান ছিল।

[৯.২] সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে শাস্তির বিধান কমিয়ে এখন সাত বছর করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া দ্বিতীয়বার একই অপরাধে শাস্তির বিধান বাতিল করা হয়েছে।

[১০.১] ধারা ৩১-এ ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইট বা ডিজিটাল বিন্যাসে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে, ঘৃণা, বিদ্বেষ ছড়াতে, অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে চায় বা ঘটায়, এই অপরাধে বিদ্যমান আইনে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অনধিক ৭ বছর কারাদণ্ড, বা অনধিক পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান ছিল।

[১০.২] প্রস্তাবিত আইনে সাজা কমিয়ে ৫ বছর করা হয়েছে। দ্বিতীয়বার একই অপরাধের বাড়তি সাজা বাতিল করা হয়েছে।

[১৩] ধারা ৩২-এ সরকারি গোপনীয়তা ভঙ্গের অপরাধের জন্য অনধিক ১৪ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান ছিল। প্রস্তাবে এটি কমিয়ে সাত বছর করা হয়েছে।

[১৪] ধারা ৩৪ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। হ্যাকিংয়ের জন্য অনধিক ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অনধিক এক কোটি টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

[১৫] মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের পর ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হয়নি, পরিবর্তন করা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রায় সব ধারা এখানে রয়েছে। সেপ্টেম্বরে প্রস্তাবিত আইনটি সংসদে উত্থাপন করা হবে।  

[১৬] প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত আইনে গণমাধ্যমের জন্য আলাদা কোনো বিধান রাখা হয়নি। 

[১৭] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকে সাইবার সিকিউরিটি আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব